সাহেদের প্রতারণা থেকেও বাদ পড়েনি সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল ◑
প্রাকৃতিক দৃর্শ্যে ঘেরা পর্যটন নগরী টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্টানে ছবি তুলে করোনার ভূঁয়া রিপোর্ট তৈরী করে সাধারন জনগের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই প্রতারক সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়,বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত হোয়াইক্যং ঝিমংখালীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনের কাজ পাই রাজধানী ঢাকার ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেই নির্মানাধীন ভবনের ঠিকাদার গ্রুপের মালিক দাবী করে প্রতারক সাহেদ স্থানীয়দের সাথে প্রতারনা করে ছবি তুলেছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, বিগত দুই বছর আগে ২০১৮ সালের কোন এক শুক্রবারে টেকনাফের হোয়াইক্যং’র মাটিতে পা ফেলেন সাহেদ। ঐ দিন জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী, ইউপি সদস্য শাহ আলম মেম্বার ও স্থানীয় প্রশাসন সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শাহেদ ঝিমংখালী বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন উদ্বোধন অনুষ্টানের সময় সাহেদ উপস্থিত সকলকে নির্মানাধীন ভবনের ঠিকাদার গ্রুপের মালিক বলে পরিচয় দেন। এরপর উপস্থিত সকলের সাথে বেশকিছু ছবি তুলে চলে যায়। এরপর থেকে গত দুই বছরে ভবনের চলমান কাজে তাকে আর দেখা যায়নি।

এব্যপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য শাহ আলম বলেন, দুই বছর আগে ২০১৮ সালে ঝিমংখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে সাহেদ নামে ঐ ব্যক্তির সাথে তার দেখা হয়।

তখন উপস্থিত সকলের সামনে নব-নির্মিত নির্মাণধীন স্কুল ভবনের ঠিকাদার বলে দাবি করেন তিনি । এরপর আমাদের সাথে বেশকিছু ছবি তুলে চলে যায়।

ঝিমংখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে “এমডি,এসপি” প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ পাই ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ভবনটি নির্মাণের কাজ এখনও চলমান রয়েছে। যেদিন সাহেদ নামের ব্যক্তিটি ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্টানে উপস্থিত ছিল শুনেছি। তবে সেদিন আমি ছিলাম না। তিনি আরো বলেন, উক্ত অনুষ্টানে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীও ছিল না।
তার সাথে কোনদিন আমার দেখাও হয় নাই।

এদিকে গত ১১ বছর আগে ২০০৯ সালে কক্সবাজারে সাহেদের মালিকানাধীন নিসর্গ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারন মানুষকে চাকরীর ফাঁদে পেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা এরকম একটি অভিযোগও রয়েছে ভুক্তভোগী স্থানীয় কিছু যুবকের।